Blogging Secrets Revealed : How to Make Money by Blogging
Blogging Secrets Revealed : How to Make Money by Blogging
হ্যালো বন্ধুরা ! আজকে তোমাদেরকে ব্লগিং - Blogging নিয়ে কিছু কথা বলব। ব্লগিং কি - What is Blogging? , কেন করব, কিভাবে শুরু করব এসব নিয়ে আলোচনা করব। তুমি যদি ইন্টারনেটে লেখালেখি করতে আগ্রহী হও, তাহলে এই আর্টিকেলটি তোমার জন্য এবং আজকে আমি আপনাদের সকলকে বা তোমাদের সকলকে এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব যেগুলো জানতে পারলে যে কোন মানুষই ঘরে বসে সম্পূর্ণ চিন্তা মুক্ত ভাবে কাউকে তাদের মুখ না দেখিয়েই নিজের বাড়িতে বসেই কামিয়ে ফেলতে পারবেন কোটি কোটি টাকা। গ্রামের অনেক মানুষই আছে যারা কিনা এই কথাগুলো এখনো হয়তো বিশ্বাস করবেন না কিন্তু এটা সত্যিটাই সম্ভব আমি নিজেই গত ১০ বছর ধরে ব্লগিং করে চলেছি এবং অনেক পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে চলেছি। আর আজকে আমি আপনাদের সকলকেই আমার জীবনের কিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের বা তোমাদের। সাথে শেয়ার করব এবং আপনাদের কাছে পৌঁছে দেব যেগুলো আপনাদের সকলের জন্য অনেক বেশি উপকারী হবে বলে আমার মনে হয়। তাহলে আর দেরি নয় চলো, শুরু করা যাক!
What is Blogging?
Blogging হলো ইন্টারনেটে নিয়মিত লেখালেখি করা। ব্লগাররা বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত, অভিজ্ঞতা তাদের ওয়েবসাইট এবং ব্লগার প্ল্যাটফর্মে তুলে ধরেন এবং সেই সমস্ত বিষয়গুলোকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়। এবং সাধারণ মানুষ যখন সেই আর্টিকেল অথবা তাদের লেখা বিষয়গুলি দেখেন এবং পড়েন তখন সকলেই উপকৃত হন এবং এর মাধ্যমে বিভিন্ন পদ্ধতির ব্যবহার করে অনেক পরিমাণ টাকা ও কামিয়ে ফেলা সম্ভব আমি নিজেও এই পদ্ধতির অবলম্বন করে অনেক পরিমাণ টাকা উপার্জন করেছি এবং দীর্ঘ ১০ বছর ধরে আমি ব্লগিং করে চলেছি ।
Why start Blogging?
- জ্ঞান শেয়ার করা : তুমি যদি কোনো বিষয়ে ভালো জানো, তাহলে সেটা অন্যদের সাথে শেয়ার করতে পারো।সেটা হতে পারে তোমার পছন্দের কোনো বিষয় অথবা কোন খবর বা এমন কোন বিষয় যেটা কিনা তুমি ভালো করে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারবে এবং মানুষও উপকৃত হবে। সেই জন্যই অবশ্যই সব থেকে ভালো হয় যদি তোমার পছন্দের কোনো বিষয়কে তুমি লিখে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারো তাহলে।
- নিজেকে প্রকাশ করা : ব্লগিংয়ের মাধ্যমে তুমি নিজের ভাবনা, মতামত প্রকাশ করতে পারো।
- ক্যারিয়ার গঠন : অনেকেই ব্লগিংকে পেশা হিসেবে নিয়েছে। তুমিও পারো।
- আয় করা - Income : ব্লগিং থেকে আয় করা সম্ভব। এডসেন্স, স্পনসরশিপ, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে।
How to start Blogging?
- বিষয় নির্বাচন
প্রথমে তোমাকে ঠিক করতে হবে তুমি কোন বিষয়ে ব্লগ লিখবে। এটি হতে পারে তোমার পছন্দের কোনো বিষয়।
বিষয় নির্বাচন করাটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় কারণ তোমাকে এমন কোন বিষয়কে পছন্দ করতে হবে যে বিষয়টা তুমি জানো এবং সে বিষয়ে তুমি প্রতিনিয়ত খবরাখবর বা তথ্য তোমার কাছে থাকবে এবং সেগুলো তুমি সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারবে সেই জন্য অবশ্যই কিন্তু তোমাদেরকে তোমাদের পছন্দের বিষয়কেই সিলেক্ট করা সব থেকে বুদ্ধিমানের কাজ। আর যদি তুমি এমন কোন ভুল বিষয়কে তুলে ধরতে থাকো যেটা তোমার পছন্দ নয় এমন কোন বিষয়কে তুমি যদি সিলেক্ট করে থাকো তবে তুমি সাধারণ মানুষের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে পারবে না এবং প্রতিনিয়ত তোমার নিজেরও ভালো লাগবে না সেই কাজটি করতে তো সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি এটি বন্ধুরা তোমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে তোমাদের পছন্দের কোন বিষয়কে ব্লগের বিষয় হিসেবে সিলেক্ট করার।
- ব্লগ প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন
ব্লগিং শুরু করার জন্য তোমাকে একটি প্ল্যাটফর্ম বেছে নিতে হবে। কিছু জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম :
- WordPress: এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম।
- Blogger: গুগলের এই সার্ভিসটি বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়। তোমরা যারা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে কাজ শুরু করতে চাও তারা কিন্তু ব্লগারকে সিলেক্ট করতে পারো। কারণ এই প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তুমি তোমার ব্লগিং জার্নি শুরু করতে পারো। আমিও আমার জীবনে এই প্ল্যাটফর্মটির বহু ব্যবহার করেছি তোমরা চাইলে তোমরাও কিন্তু এখান থেকেই তোমাদের কাজটি শুরু করতে পারো
- Medium: এখানে লেখালেখি করে অনেক পাঠক পাওয়া যায়।
- ডোমেইন নাম ও হোস্টিং
যদি তুমি প্রফেশনাল ব্লগিং করতে চাও, তাহলে তোমাকে একটি ডোমেইন নাম এবং হোস্টিং কিনতে হবে। ডোমেইন হলো তোমার ব্লগের ঠিকানা । হোস্টিং হলো সেই জায়গা যেখানে তোমার ব্লগের ডাটা সংরক্ষিত থাকবে। তোমরা যদি ব্লগারকে ব্যবহার কর তবে কিন্তু তোমাদের হোস্টিং এর কোন প্রয়োজন হবে না সে ক্ষেত্রে তোমাদের হোস্টিংয়ের টাকাটি বেঁচে যাবে তবে তোমরা চাইলে ডোমেনের জন্য কিছু টাকা খরচ করতে পারো তাহলে সেটা তোমাদের জন্য উপকারী হবে। তবে আমি প্রথমে ডোমেন ছাড়াই আমার কাজটি শুরু করেছিলাম। তারপরে ভবিষ্যতে উপর কিছু অর্থ আমি ইনভেস্ট করেছিলাম।
- ব্লগ ডিজাইন
ব্লগের ডিজাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি সুন্দর এবং ব্যবহারকারীবান্ধব ডিজাইন পাঠকদের আকর্ষণ করে। তুমি বিভিন্ন থিম ব্যবহার করে ব্লগকে সুন্দর করে সাজাতে পারো। এবং যদি তুমি তোমার আর্টিকেলগুলি খুব সুন্দর করে লেখ এবং তোমার যে ব্লগার পেজ বা তোমার ওয়েবসাইটটি সুন্দর করে সাজিয়ে ওঠাও তবে কিন্তু পাঠকদের খুবই পছন্দের বিষয় হয়ে যাবে তোমার ওয়েবসাইটটি তো অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে একটা সুন্দর ওয়েবসাইট তৈরি করার এবং ওয়েবসাইটটির সুন্দর ডিজাইন দেওয়া অনেকে যারা ব্লগিংয়ের ডিজাইন সম্পর্কে কোন রকমের কোন জ্ঞান তাদের নেই তারা কিন্তু আমার ইউটিউব চ্যানেলে অথবা আমাদের এই ওয়েবসাইটটি বা ব্লগার এর মাধ্যমে শিখে নিতে পারো খুব সহজেই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
- কন্টেন্ট তৈরি
ব্লগিংয়ের মূল বিষয় হলো কন্টেন্ট। তুমি যা লিখবে, তা যেন তথ্যবহুল এবং আকর্ষণীয় হয়। কন্টেন্ট লেখার সময় নিচের বিষয়গুলো মনে রাখবে---
- সহজ এবং স্পষ্ট ভাষা ব্যবহার করো।
- ছোট ছোট বাক্য লিখো।
- হেডিং, সাবহেডিং ব্যবহার করো।
- ছবি, ভিডিও যোগ করো।
- নিয়মিত আপডেট
ব্লগিংয়ে সাফল্য পেতে হলে নিয়মিত আপডেট করতে হবে। এবং চেষ্টা করতে হবে সপ্তাহে অন্ততপক্ষে একটি করে হলেও পোস্ট করার এবং ব্লগার এ বা ওয়েবসাইটে পোস্ট করা খুবই সহজ বন্ধুরা তো তোমরা খুব সহজেই সেই কাজটি করতে পারবে এবং সম্পূর্ণ ঘরে বসে করতে তোমাদের আশা করি কোনরকম কোন অসুবিধা হবে না তবে প্রতিনিয়ত পোস্ট করা ব্লগারের জন্য কিন্তু খুবই উপকারী হয়ে থাকে সেজন্য অবশ্যই তোমরা যদি নিয়ম করে পোস্ট করতে থাকো তবে সেটা তোমাদের জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে।