YouTube Money Revealed! How Much Can You REALLY Earn?

আজকাল সবাই ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে চায়। কিন্তু কিভাবে? সত্যিই কি ইউটিউব থেকে ভালো ইনকাম করা সম্ভব? অনেকের মনে এই প্রশ্ন থাকে। আজ আমি তোমাদের জন্য ইউটিউব আয়ের পুরো প্রক্রিয়া সহজভাবে বোঝানোর চেষ্টা করবো।

YouTube Money Revealed! How Much Can You REALLY Earn?

আশেপাশের দিকে তাকালেই দেখতে পাবে অনেক মানুষ এখন youtube থেকে প্রচুর পরিমাণে টাকা রোজগার করছেন বিভিন্ন রকমের ভিডিও তৈরি করে তখন অবশ্যই আপনিও ভেবেছেন এত সহজে কি সত্যিই টাকা রোজগার করা সম্ভব কিনা? বন্ধুরা আসলেই সম্ভব বর্তমান সময়ে ইউটিউবের মাধ্যমে খুব কম সময়ের মধ্যে খুব কম পরিশ্রমে অসংখ্য পরিমাণ টাকা রোজগার করে ফেলা সম্ভব। তার জন্য শুধুমাত্র কিছু নিয়ম পালন করতে হবে। আর কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা মাথায় রেখে চলতে হবে। তাহলেই আর আপনাকে কেউ বাধা দিতে পারবে না তারপর আপনিও পারবেন অসংখ্য অসংখ্য টাকা রোজগার করে নিতে সেই জন্যই আমি আজকে আপনাদের জন্য বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি কি করে ইউটিউব থেকে ঘরে বসে টাকা রোজগার করা সম্ভব তার পদ্ধতি গুলো এবং বিভিন্ন রকম গোপন তথ্য , সিক্রেট গুলো আজকে আমি আপনাদের কাছে তুলে ধরব আর সেগুলো যদি একবার আপনারা বুঝে উঠতে পারেন তবে আর কোন ভয় নেই আপনাকে আর কেউ আটকাতে পারবেনা চলুন তাহলে শুরু করি 

ইউটিউব থেকে টাকা আসে কীভাবে?

ইউটিউব মূলত বিভিন্ন উপায়ে আয় করার সুযোগ দেয়। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও কার্যকর উপায় হলো YouTube Partner Program।

এই প্রোগ্রামে যোগ দিলে তোমার চ্যানেলে বিজ্ঞাপন (Ads) দেখানো হবে এবং এর মাধ্যমে তুমি টাকা পাবে। তবে ইউটিউব থেকে আয় শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনের উপর নির্ভর করে না, আরও অনেক উপায় আছে। তার মধ্যে কয়েকটি নিচে জানাচ্ছি ---

  1. বিজ্ঞাপন (AdSense Revenue)
  2. স্পনসরশিপ (Sponsorships)
  3. সুপার চ্যাট ও স্টিকার (Super Chat & Stickers)
  4. মেম্বারশিপ (Channel Memberships)
  5. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)
  6. নিজের পণ্য বা কোর্স বিক্রি (Selling Your Own Products)
YouTube Money Revealed! How Much Can You REALLY Earn?

ইউটিউব অ্যাডসেন্স থেকে ইনকাম

ইউটিউবের মূল আয়ের মাধ্যম হলো Google AdSense। যখন তোমার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়, তখন ইউটিউব তার ৫৫% তোমাকে দেয় এবং ৪৫% নিজে রেখে দেয়।


কিন্তু অ্যাডসেন্স থেকে আয় পেতে হলে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে---

  • তোমার চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে।
  • ভিডিওগুলোর মোট ৪০০০ ঘণ্টা ওয়াচটাইম থাকতে হবে (পাবলিক ভিডিও হতে হবে)।
  • চ্যানেল কমিউনিটি গাইডলাইন ফলো করতে হবে।

যদি এসব শর্ত পূরণ হয়, তবে তুমি YouTube Partner Program এ যোগ দিতে পারবে এবং ইনকাম শুরু হবে।


স্পনসরশিপ থেকে আয়

অনেক বড় বড় কোম্পানি তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন দিতে চায়। যদি তোমার চ্যানেলের ভালো ফলোয়ার থাকে, তবে বিভিন্ন কোম্পানি তোমার সাথে স্পনসরশিপ চুক্তি করতে পারে।

স্পনসরশিপের মাধ্যমে কোম্পানিগুলো তাদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানাতে তোমাকে টাকা দেয়। এই আয় অ্যাডসেন্সের চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে।


কিভাবে স্পনসরশিপ পাওয়া যায়?


তোমার চ্যানেলের একটি নির্দিষ্ট থিম থাকা দরকার (যেমন- টেক, ভ্লগিং, বিউটি, ফুড, ট্রাভেল ইত্যাদি)।

ভালো এনগেজমেন্ট (কমেন্ট, লাইক, শেয়ার) থাকতে হবে।

নিজেই বিভিন্ন কোম্পানিকে ইমেইল করে প্রপোজাল পাঠাতে পারো।

সুপার চ্যাট ও স্টিকার ইনকাম

ইউটিউব লাইভ স্ট্রিমিং করলে দর্শকরা Super Chat & Stickers এর মাধ্যমে তোমাকে টাকা দিতে পারে।

যখন কেউ লাইভে তোমাকে কিছু দান (donation) করবে, তখন ইউটিউব কিছু অংশ রেখে বাকিটা তোমাকে দেবে।

YouTube Money Revealed! How Much Can You REALLY Earn?


কে কে Super Chat & Stickers ব্যবহার করতে পারবে?

  • চ্যানেলে মনিটাইজেশন চালু থাকতে হবে।
  • লাইভ স্ট্রিমিং চালু রাখতে হবে।
  • দর্শকদের মধ্যে ভালো ইনভলভমেন্ট থাকতে হবে।

চ্যানেল মেম্বারশিপ (Memberships) থেকে ইনকাম

তুমি যদি বড় কনটেন্ট ক্রিয়েটর হও, তাহলে চ্যানেল মেম্বারশিপ চালু করতে পারবে।

এতে দর্শকরা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে মেম্বার হতে পারবে এবং বিশেষ সুবিধা পাবে, যেমন---

  • এক্সক্লুসিভ ভিডিও
  • কাস্টম ইমোজি
  • বিশেষ ব্যাজ

এই মেম্বারশিপ থেকে মাসিক ভিত্তিতে ইনকাম হতে পারে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে ইনকাম

Affiliate Marketing মানে হলো অন্যদের প্রোডাক্ট প্রোমোট করে কমিশন পাওয়া।

যেমন, তুমি যদি অ্যামাজন বা অন্য কোনো কোম্পানির প্রোডাক্ট রিভিউ ভিডিও বানাও, তাহলে সেখানে অ্যাফিলিয়েট লিংক দিতে পারো।


যদি কেউ সেই লিংকে ক্লিক করে কিছু কিনে, তাহলে তুমি কমিশন পাবে।


সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম

  • Amazon Affiliate
  • Flipkart Affiliate
  • Hostinger, Bluehost (ওয়েব হোস্টিং)
  • Software বা ডিজিটাল প্রোডাক্ট অ্যাফিলিয়েট

নিজের পণ্য বা কোর্স বিক্রি করে ইনকাম

ইউটিউব তোমাকে ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড তৈরি করতে সাহায্য করে।

যদি তুমি কিছু ইউনিক স্কিল জানো (যেমন- গ্রাফিক ডিজাইন, কোডিং, রান্না), তাহলে তুমি নিজের অনলাইন কোর্স বিক্রি করতে পারো।

এছাড়াও, তুমি নিজের T-shirt, মোবাইল কভার, বই ইত্যাদি বিক্রি করতে পারো ইউটিউবের মাধ্যমে।


ইউটিউব থেকে আয় করা সম্ভব, তবে সময় ও ধৈর্য দরকার। ইউটিউব থেকে এক দিনের মধ্যে টাকা কামানো কখনো সম্ভব নয় তোমাকে ধৈর্য ধরে ভিডিও পোস্ট করে যেতে হবে এবং আস্তে আস্তে তোমার সাবস্ক্রাইবার এবং ভিউয়ার্স বাড়তে থাকবে এবং যখন যথেষ্ট পরিমাণ সাবস্ক্রাইবার তোমার হয়ে যাবে তখন থেকে তুমি যথেষ্ট ভালো পরিমাণ অর্থ বা টাকা রোজগার করা শুরু করতে পারবে। তার আগে তোমাকে কিন্তু ধৈর্য ধরে অবশ্যই কাজটাকে চালিয়ে যেতে হবে । কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই সেটা পারেনা যার কারণে  তারা কিছুদিন চেষ্টা করে হাল ছেড়ে দেয় কিন্তু এভাবে কোনদিনও কিন্তু তুমি রোজগার করতে পারবে না । তোমাকে দীর্ঘ প্রতিজ্ঞ হয়ে প্রতিনিয়ত ভিডিও ছেড়ে যেতে হবে তবে তুমি খুব শীঘ্রই লক্ষ্য করবে তোমার ইউটিউবে ফলোয়ারস বা সাবস্ক্রাইবস বেড়ে চলেছে এবং তারপরেও তুমি তোমার ইচ্ছা মতো রোজগার করতে পারবে । তুমি যদি ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে চাও? তাহলে আজই চ্যানেল খুলে ভিডিও আপলোড শুরু করো!
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url